এইচএসসি এসাইনমেন্ট সমাধান বাংলা ১ম পত্র ২০২১ (১ম সপ্তাহ)

১) অপরিচিতা গল্পে কল্যাণীর সংকট হলাে সঠিক সময়ে বিবাহ না হওয়া।

মেয়ের বয়স পনেরাে শুনে লেখকের মামার মন ভার হলাে। কারণ তিনি মনে করলেন যে, ঐ মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে। তখন আট থেকে দশ বছর বয়সের মধ্যে কন্যার বিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল। এ সময়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে না হলে মনে করা হতাে যে মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে। যে কারণে মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না। যে মেয়ের সাথে অনুপমের বিয়ের কথা চলছিল তার বয়স পনেরাে। পনেরাে বছর বয়সেও মেয়ের বিয়ে হয়নি,এমনটি ভেবে অনুপমের মামার মন ভার হলাে।
কল্যাণী উচ্চশিক্ষিতা,রুচিশীল মেয়ে। শিক্ষকতাকে তিনি জীবনের ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। তার শিক্ষাদীক্ষার কারণে বিবাহের সংকট দৃঢ়তার সাথে মােকাবেলা করেছেন।

২)অপরিচিতা গল্পে কল্যাণী ছিল বেশ সুন্দরী ও প্রাণচঞ্জল। আর পিতা শম্ভুনাথ বাবু ছিলেন স্পষ্টভাষী ও একজন সুপুরুষ ব্যক্তি, অন্যদিকে অনুপমের মামা বিয়ের পণ, যৌতুক সম্পর্কে কোন প্রকার ছাড় বা আপস করতে রাজি নন। এখানেই গল্পের কাহিনী জটিলতায় রূপ নেয়। রীতিমতাে বেশ আয়ােজনের মধ্যে দিয়ে যদিও বিয়ের কাজ শুরু হয়েছিল,কিন্তু এক পর্যায়ে দেনা পাওনা কারণে সব আনন্দ আয়ােজন এক মুহুর্তেই ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় অথ্যাৎ যৌতুকের জন্য বিয়ে ভেঙ্গে যায়।এই গল্পে অনুপমের চরিত্রের সীমাহীন দুর্বলতা ও নিবুদ্ধিতার পরিচয় পাওয়া যায়। অনুপম ও তার মামা ভুমিকা যদি ইতিবাচক হতাে তাহলে কল্যাণীর সংসার সুখময় হতাে বলে আমি মনে করি। বিবাহ ভেঙে যাওয়ায় প্রধান কারণ হলাে অনুপমের দুর্বলতা ও তার মামা যৌতুক প্রবনতা।

৩) পঠিত গল্প অনুসারে নারীকে এগিয়ে চলার পথে প্রতিবন্ধকতাগুলাে হলােঃ

ক) শিক্ষার অভাব
খ) কুসংস্কার
গ)ধর্মীয় গোঁড়ামি
ঘ) পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা

নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় নিম্নে ব্যাখা করা হলােঃ

”বিশ্বে যা কিছু মহান চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”

সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই সত্য উচ্চারণ করলেও আজও আমাদের সমাজে তার যথাযথ স্বীকারােক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আজও মানুষের ধ্যান-ধারণার তেমন পরিবর্তন হয়নি। এখনও সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে নারীদের প্রতিবন্ধকতার মুখােমুখি হতে হয়।

অশিক্ষা, দারিদ্র্য আর কুসংস্কারে ডুবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীর প্রথম বাধাটা আসে পরিবার থেকে। অভিধানে ‘উন্নয়নে নারী বা নারী উন্নয়ন’ একটি অতি আধুনিক সংযােজন। এই ধারণা বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকার করে। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দুটি বিষয়ই একটি অন্যটির পরিপূরক। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নারী উন্নয়ন বিষয়টি বিশেষ ভূমিকা রাখে।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলােতেই যেখানে নারীদের পদযাত্রায় বারবার হোঁচট খেতে হয়, সেখানে তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশের নারী হিসেবে বাঙালি নারীদের প্রতিটি পদক্ষেপে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার মুখােমুখি হতে হয়। অশিক্ষা, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। অথচ সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা আজ শুধু রান্নাঘরেই সীমাবদ্ধ নেই, নারীরা পৌঁছে গেছেন বিমানের ককপিট থেকে পর্বতশৃঙ্গে। দশভুজা নারী ঘরে-বাইরে নিজেকে আলােকিত করছেন নিজ প্রজ্ঞা আর মেধা দিয়ে। বর্তমানে এমন কোনাে পেশা নেই যেখানে নারীর মর্যাদাপূর্ণ উপস্থিতি নেই। দেশে এখন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দু’জন নারী। জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী। বর্তমানে সবক্ষেত্রেই রয়েছে নারীর পদচারণা।

১) অপরিচিতা গল্পে কল্যাণীর সংকট হলাে সঠিক সময়ে বিবাহ না হওয়া।

মেয়ের বয়স পনেরাে শুনে লেখকের মামার মন ভার হলাে। কারণ তিনি মনে করলেন যে, ঐ মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে। তখন আট থেকে দশ বছর বয়সের মধ্যে কন্যার বিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল। এ সময়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে না হলে মনে করা হতাে যে মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে। যে কারণে মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না। যে মেয়ের সাথে অনুপমের বিয়ের কথা চলছিল তার বয়স পনেরাে। পনেরাে বছর বয়সেও মেয়ের বিয়ে হয়নি,এমনটি ভেবে অনুপমের মামার মন ভার হলাে।
কল্যাণী উচ্চশিক্ষিতা,রুচিশীল মেয়ে। শিক্ষকতাকে তিনি জীবনের ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। তার শিক্ষাদীক্ষার কারণে বিবাহের সংকট দৃঢ়তার সাথে মােকাবেলা করেছেন।

২)অপরিচিতা গল্পে কল্যাণী ছিল বেশ সুন্দরী ও প্রাণচঞ্জল। আর পিতা শম্ভুনাথ বাবু ছিলেন স্পষ্টভাষী ও একজন সুপুরুষ ব্যক্তি, অন্যদিকে অনুপমের মামা বিয়ের পণ, যৌতুক সম্পর্কে কোন প্রকার ছাড় বা আপস করতে রাজি নন। এখানেই গল্পের কাহিনী জটিলতায় রূপ নেয়। রীতিমতাে বেশ আয়ােজনের মধ্যে দিয়ে যদিও বিয়ের কাজ শুরু হয়েছিল,কিন্তু এক পর্যায়ে দেনা পাওনা কারণে সব আনন্দ আয়ােজন এক মুহুর্তেই ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় অথ্যাৎ যৌতুকের জন্য বিয়ে ভেঙ্গে যায়।এই গল্পে অনুপমের চরিত্রের সীমাহীন দুর্বলতা ও নিবুদ্ধিতার পরিচয় পাওয়া যায়। অনুপম ও তার মামা ভুমিকা যদি ইতিবাচক হতাে তাহলে কল্যাণীর সংসার সুখময় হতাে বলে আমি মনে করি। বিবাহ ভেঙে যাওয়ায় প্রধান কারণ হলাে অনুপমের দুর্বলতা ও তার মামা যৌতুক প্রবনতা।

৩) পঠিত গল্প অনুসারে নারীকে এগিয়ে চলার পথে প্রতিবন্ধকতাগুলাে হলােঃ

ক) শিক্ষার অভাব
খ) কুসংস্কার
গ)ধর্মীয় গোঁড়ামি
ঘ) পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা

নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় নিম্নে ব্যাখা করা হলােঃ

”বিশ্বে যা কিছু মহান চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”

সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই সত্য উচ্চারণ করলেও আজও আমাদের সমাজে তার যথাযথ স্বীকারােক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আজও মানুষের ধ্যান-ধারণার তেমন পরিবর্তন হয়নি। এখনও সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে নারীদের প্রতিবন্ধকতার মুখােমুখি হতে হয়।

অশিক্ষা, দারিদ্র্য আর কুসংস্কারে ডুবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীর প্রথম বাধাটা আসে পরিবার থেকে। অভিধানে ‘উন্নয়নে নারী বা নারী উন্নয়ন’ একটি অতি আধুনিক সংযােজন। এই ধারণা বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকার করে। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দুটি বিষয়ই একটি অন্যটির পরিপূরক। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নারী উন্নয়ন বিষয়টি বিশেষ ভূমিকা রাখে।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলােতেই যেখানে নারীদের পদযাত্রায় বারবার হোঁচট খেতে হয়, সেখানে তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশের নারী হিসেবে বাঙালি নারীদের প্রতিটি পদক্ষেপে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার মুখােমুখি হতে হয়। অশিক্ষা, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। অথচ সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা আজ শুধু রান্নাঘরেই সীমাবদ্ধ নেই, নারীরা পৌঁছে গেছেন বিমানের ককপিট থেকে পর্বতশৃঙ্গে। দশভুজা নারী ঘরে-বাইরে নিজেকে আলােকিত করছেন নিজ প্রজ্ঞা আর মেধা দিয়ে। বর্তমানে এমন কোনাে পেশা নেই যেখানে নারীর মর্যাদাপূর্ণ উপস্থিতি নেই। দেশে এখন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দু’জন নারী। জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী। বর্তমানে সবক্ষেত্রেই রয়েছে নারীর পদচারণা।

নারীর সমাধিকার ও নারীমুক্তির কথা যতই বলা হােক না কেন- উন্নত, অনুন্নত, উন্নয়নশীল সব দেশেই নারীরা কম-বেশি সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার। সামাজিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র সবক্ষেত্রে প্রায় একই। বাংলাদেশের মােট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই নারী, কিন্তু নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। খুব অল্প সংখ্যক নারীর মধ্যেই। তাদের অনেকেই নিজের সিদ্ধান্তে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন না এবং নিজের বস্তুগত ক্ষমতার পরিসরও স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে বাধাগ্রস্ত হন। নারীশিক্ষার বিষয়টি আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে অপরিহার্যভাবে জড়িত। নেপােলিয়ন বলেছিলেন, ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি দেব।’ এ বিষয়ে আরবিতেও। একটি প্রবাদ আছে, ‘একজন পুরুষ মানুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে একজন ব্যক্তিকে শিক্ষা দেওয়া। আর একজন নারীকে শিক্ষা দেওয়া মানে একটি গােটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তােলা।’ তাই নারীশিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনাতীত। তথাপি শিক্ষা ক্ষেত্রেও এ বৈষম্যের কোনাে শেষ নেই। যদিও শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে এখন নারীদের অংশগ্রহণ শতভাগ।

মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন। বাংলাদেশের সংবিধান দ্বারাও তা স্বীকৃত। কিন্তু প্রায় ৫০ বছরেও তা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্রের অভাব ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পিছিয়ে
দিচ্ছে নারীর উন্নয়ন যাত্রাকে। প্রচার মাধ্যমগুলােতে নারীর নেতিবাচক উপস্থাপন বন্ধ হতে হবে। নারী কোনাে পণ্য নয়। নারীদের নিজেদেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নারী-পুরুষের সমান স্বার্থ রক্ষাকারী আইন প্রবর্তন ও আইনের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নারীশিক্ষা ও নারীর মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। নারীকে তার কাজের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। নারীর কাজকে ছােট করে দেখা চলবে না। নারীর কাজের মূল্যায়ন হতে হবে। সর্বোপরি, নারীর প্রতি ইতিবাচক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
ফ্রেডরিক অ্যাঙ্গেলস তার ‘অরিজিন অব দ্য ফ্যামিলি’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘নারীমুক্তি তখনই সম্ভব যখন নারীরা সমাজের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সমগুরুত্ব নিয়ে অংশগ্রহণ করবে।’ তাই নারীর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা, নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও নারী-পুরুষ উভয়ের অন্তর্ভুক্তিতেই উন্নয়নের দেখা পাওয়া সম্ভব। এভাবেই নারীরা এগিয়ে যাবেন, তাদের ভবিষ্যৎ হবে কণ্টকমুক্ত।

৪) পঠিত গল্প অনুসারে নারীকে এগিয়ে চলার পথে সহায়ক ভুমিকা হলােঃ

১)সর্বত্র নারীর শুধু অংশগ্রহণ বাড়ালে চলবে না, তার গুণগত উন্নয়ন জরুরি কোনাে দেশের উন্নয়নের জন্য নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন গুরুত্বপূর্ণ নারীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে ।

২) নারীর অনানুষ্ঠানিক কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন করা দরকার ।

৩) কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সংবেদনশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে ।

৪) মেয়ে ও ছেলেশিশুর মধ্যে কোনাে পার্থক্য নেই। সবার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের পূর্ণ ব্যবস্থা করতে হবে ।

৫) নারীবান্ধব আইনগুলাের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি ।

৬) কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে ।

৭) নারীর উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বে আরও ক্ষমতায়ন প্রয়ােজন ।

The post এইচএসসি এসাইনমেন্ট সমাধান বাংলা ১ম পত্র ২০২১ (১ম সপ্তাহ) appeared first on Trickbd.com.








POST VIEWSl

website counter








Next Post Prev Post

Facebook

Get the latest article updates from this site via email for free!