ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন কি? এটা থেকে বাঁচার উপায় | পর্ব-০১

প্রতিটি কোম্পানি তাদের নিজস্ব নিয়ম-কানুন দিয়ে চলে, ইউটিউব ও তার ব্যতিক্রম নয়। ইউটিউবে মোট দুইটা স্ট্রাইক রয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক। একজন ইউটিউবার তার ইউটিউব চ্যানেলে যদি কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক খায়, সেক্ষেত্রে তার ইউটিউব চ্যানেলটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে ভাই ইউটিউব বন্ধ করে দিতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই কি কি কারণে ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক আসতে পারে…

• ভুল তথ্য দেওয়া:
১. অনেকে আকর্ষণীয় করার জন্য থাম্বনেইল ও টাইটেল এর মধ্যে এক লেখা লেখে, কিন্তু ভিডিওর মধ্যে অন্য কিছু থাকে। এর জন্য কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক আসতে পারে। মানে হচ্ছে আপনার ভিডিওর সাথে আপনার থাম্বনেইল এবং টাইটেলের মিল থাকতে হবে। একজন ভিউয়ার যেন আপনার টাইটেল এবং থাম্বনেইল দেখে, ভিডিওতে প্রবেশ করার পর অন্য কিছু না দেখে।
২. অন্য চ্যানেলের টাইটেল, চ্যানেল ডিসক্রিপশন, ভিডিও টাইটেল, ভিডিও ডিস্ক্রিপশন ইত্যাদি কপি করতে যাবেন না। এগুলো কিন্তু ইউটিউব পছন্দ করে না। এছাড়া অনেকে তাদের চ্যানেলে বড় কোন ইউটিউবার এর প্রোফাইল ফটো এবং কভার ফটো দিয়ে দেয়, এগুলোও দিতে যাবেন না। এতেও কিন্তু আপনার চ্যানেলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক আসতে পারে।
৩. আপনার ভিডিও ডিসক্রিপশন এ উল্টাপাল্টা কোন লিংক দিবেন না। যেমন: পর্নোগ্রাফি, এডভার্টাইজিং লিংক (যে লিংকে ক্লিক করলে ভিউয়াররা অপেক্ষা করে তারপর মূল লিংকে প্রবেশ করতে পারে), সরাসরি এফিলিয়েট লিংক, ভাইরাস আছে এমন লিংক, এমন কোন ওয়েবসাইট বা অ্যাপস যেগুলো গ্রাহকের পার্সোনাল ডাটা সংগ্রহ করে ইত্যাদি।
৪. ভিডিওতে অতিরিক্ত খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ছাড়া অন্যের ক্ষতি হবে এই ধরনের ভাষাও ব্যবহার করতে পারবেন না। কাউকে গালি দিতে পারবেন না।
৫. আপনার ইউটিউব চ্যানেলের প্লেলিস্টে এমন কোন ভিডিও রাখতে পারবেন না যেটা ইউটিউবের নিয়ম-কানুন এর বিরুদ্ধে যায়।
৬. ইউটিউব থেকে আগেই রিমুভ করা হয়েছে এমন কোন কনটেন্ট যদি আপনি পুনরায় আবার আপলোড করেন তাহলেও আপনার চ্যানেলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক আসতে পারে।

• সেনসিটিভ কনটেন্ট:
১. কোন বাচ্চা বা শিশুকে অত্যাচার করা হচ্ছে অথবা শিশুর ক্ষতি হবে এমন কোনো ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না।
২. থাম্বনেইল এর মধ্যে কোন ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ, যৌনতা, কেউ ডিস্টার্ব হবে এমন কিছু, অকথ্য ভাষা বা গালি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
৩. ভিডিওর মধ্যে কোন ধরনের সেক্সুয়াল কনটেন্ট ব্যবহার করা যাবে না।
৪. ভিডিওর মধ্যে বা থাম্বনেইল এর মধ্যে, আত্মহত্যা বা সুইসাইড এর মত কোন কিছু ব্যবহার করা যাবে না।
৫. ভিডিওতে কোন ধরনের খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া অনেক ভিডিওতে মারামারি দেখানো হয়, ওই মারামারির সময় কোন ধরনের খারাপ ভাষা ব্যবহার করা যাবে না।

আর্টিকেলটা অনেক বড় হয়ে গেছে। আমি কমিউনিটি গাইডলাইন এর অন্যান্য বিষয়গুলো পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করব।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

আমার ফেসবুক প্রোফাইল
আমার ফেসবুক পেইজ

 

ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন কি? এটা থেকে বাঁচার উপায় | পর্ব-০২

The post ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন কি? এটা থেকে বাঁচার উপায় | পর্ব-০১ appeared first on Trickbd.com.








POST VIEWSl

website counter








Next Post Prev Post

Facebook

Get the latest article updates from this site via email for free!