দর্শকের চোখে কে সেরা- ভুলভুলিয়া ২ নাকি জায়েশ ভাই জোরদার? | মুভি রিভিউ | বাংলা।


বিজ্ঞানের এই যুগে এসে মানুষকে ভূতে বা প্রেত আত্মাই ভয় পাওনো কিন্তু বিরাট এক কঠিন কাজ আর তা যদি হয় পদ্মায় তাহলে তো কথাই নেই।

রীতিমতো বিরাট এক চ্যালেঞ্জ এখন ভূতের সিনেমা বানানো বিশ্বাসযোগ্য গল্প ও নিখুঁত ক্রিম্প্লে আর দুর্দান্ত মেকআপ স্কিল এসব তো লাগেই তাহলেই হয়তো একটা বিনোদনমূলক ভালো একটা ভূতের সিনেমা বানানো যেতে পারে।

ঠিক তেমনি কিন্তু বিশ্বের সব খানে যখন এখন বাস্তব খরানোর গল্পের চর্চা হচ্ছে তখন এরকম একটি বাস্তব সোশালিস্ম সিনেমা বানানো ও কিন্তু চ্যালেঞ্জিং বটে কি ভাবছেন?
কি সব জগাখিচুড়ি বলছি আসলে ব্যাপারটা তা না‌।

আজকের দুইটা বলিউড সিনেমা নিয়ে কথা বলব চলুন তাহলে কথা বলি ২ ঘটনার দুই বলিউড সিনেমা ভুলভুলাইয়া ২ এবং জায়েস ভাই জোরদার নিয়ে।


দুইটা সিনেমায় মুক্তি পেয়েছে এ বছর মে মাসে যার মধ্যে ভুলভুলাইয়া টু একটি বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা।
যেহেতু অক্ষয় কুমার অভিনীত প্রথম অংশ সিনেমাতে অনেক সাড়া ফেলেছিল সে সময় ইনফ্যাক্ট এখনো সমানভাবেই কিন্তু জনপ্রিয় ভৌতিক কমিটি সিনেমা ভুলভুলাইয়া।

যা থেকেই দ্বিতীয় অংশ নিয়ে দর্শকের এক্সপেক্টেশন অনেক বেশি ছিল। সেই এক্সপেক্টেশন রাখতে পেরেছে কিনা সে কথায় আমরা পরে আসছি।
তবে এই সিনেমা বক্স অফিসে সুপার ডুপার হিট।

৬৫ কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমা আয় করেছে ২৬১ কোটি রুপি।

এদিকে আলোচনার বাইরে এর ঠিক সাত দিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা সোশ্যাল ইস্যু বেস সিনেমা জায়েশ ভাই জোরদার।

যার বাজেট ৮৬ কোটি রুপি কিন্তু হাই করেছে মাত্র ২৩ কোটি রুপি।

কথা না বাড়িয়ে চলুন চলে যায় আলোচনায়। প্রথমেই সিনেমার গল্প নিয়ে কথা বলি।


ভুলভুলাইয়া এর গল্প যারা দেখেছেন তারা জানেন যে কমেডি আর ভয় এই দুইটার মিশ্রণের নির্মিত করা হয়েছিল সিনেমা।
তার দ্বিতীয় পাঠ সেরকম কিছুরই একটা অন্তত চেষ্টা সেরকম কিছুই করা হয়েছে।

গল্পে দেখানো হয়েছে রোহান আর হৃদ এই দুইজন আগুনতো হঠাৎই এক ট্রিপ থেকে বন্ধুত্ব করেন, সেখান থেকে কোন যৌক্তিক কারণ বা বিশ্লেষণ ছাড়াই।
হৃদয়ের গ্রামের বাসায় যেয়ে হাজির হন রোহান। অর্থাৎ কার্তিক আরিয়ান।


সেখানে নানান ভৌতিক কান্ড ঘটতে থাকে কারণ সেখানে আটকে আসছে ভয়ঙ্কর পেতাত্মা মঞ্জুলীকা।
এরমধ্যে একটু কমেডি একটু গান একটু প্রেম দেখানো হয়েছে তবে কোন কিছুই মন কাটতে পারেনি।

যে এত এত আশা নিয়ে এই সিনেমার গল্প ই ছিল প্রচণ্ড দুর্বল। অবাস্তব গল্প বানানোরও তো একটা লিমিট থাকা দরকার?
যাই হোক বুঝলাম যে সিনেমাতে যুক্তি খোঁজা উচিত না। কিন্তু অন্তত সিনেমাটা এন্টারটেইনিং তো হবে?

এই সিনেমার গল্পের না হয়েছে কমেডি, আর না হয় সে হরর।
পুরোটাই বিদ্রূপ জনক হাস্যকর লেগেছে।
আর আমি তো এটাই বুঝি না যে বলিউড যখন কোন সিনেমার দ্বিতীয় অংশ বানায় তখন তার প্রথম অংশের সাথে গল্পের কোন মিল থাকে না।

এদিকে আরেক সিনেমা জায়েস ভাই জোরদার।

ভারতের গুজরাটের এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা, প্রভাবশালী ঘরের ছেলে জায়েস পাটেল।
বিবাহিত জায়েস স্ত্রী মধুরা কে অনেক ভালোবাসেন সেইসঙ্গে ভালোবাসেন মেয়ে সিদ্ধি কে।

সমস্যাটা এখানেই এই গ্রামে মেয়ে জন্মদান কে ভালো চোখে দেখা হয় না, ইন ফ্যাক্ট আল্ট্রাস সাউন্ড করে যখন জানা যায়।
যে গর্ভে মেয়ে আছে তখন ওই সন্তানটিকে মেরে ফেলা হয়।

শুধু তাই নয় এই গ্রামের নারীরা এতটাই অবহেলিত, যে তাদের সামান্য সাবান গায়ে মাখার অধিকার নেই।

হাসতে পারবে না তারা সব সময় ঘুমটা টেনে থাকবে, এই যে অত্যন্ত গুরুতর সামাজিক ইস্যু এখনো যে প্রচন্ড প্রখর তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা।

কিন্তু ভারতের প্রদেশ অনেকেই এখনও মেয়ে জন্মদান কে স্ত্রীকে তালাক দেয়া হয় খুন করে ফেলা হয় এরকম অনেক অনেক ঘটনা অহরহ ঘটছে।
এই সিরিয়াস গল্পকে কে সুন্দর হালকা ভাবেই না দেখিয়েছেন। ইয়াষ রাজ।

এবার দুটি সিনেমার ই স্কিন প্লে নিয়ে কথা বলি।

ভুলভুলাইয়া টু এর স্ক্রিনপ্লে নিয়ে শুরুতেই বলি গল্পের মতোই প্রচণ্ড দুর্বল স্ক্রিনপ্লে।
টানা পাঁচ মিনিটের বেশি এই সিনেমা দেখা যায় না।

আমি জানিনা মানুষ কিভাবে হলে বসে এই সিনেমাটি সম্পূর্ণ দেখেছিলেন। এতটাই বোরিং এই সিনেমা।
এক দৃশ্যের সাথে আরেক দৃশ্যের কোন মিল নেই, আর না আছে কোন গল্পের গাঁথুনি।

কোনো কিছুই যেন পরিপূর্ণ নয়।

আর জায়েস ভাই সিনেমাটি কিন্তু থ্রিলার না হলেও স্ক্রিন থেকে চোখ সরানো মুশকিল।
প্রতিটি সিন খুব যত্ন এবং গুরুত্ব সহকারে লেখা হয়েছে।

শেষে কথা বলবো অভিনয় নিয়ে।
তাবু, কার্তিক আরিয়ান, কেয়া রাত বানি এর মত আলোচিত প্রভাবশালী সব অভিনেতারা কাজ করেছেন ভুলভুলাইয়া টু তে।


আশা ছিল অন্তত এদিক দিয়ে হতাশ করবেন না তারা।
কিন্তু না আমাকে ভুল প্রমাণিত করে অভিনয়ে হতাশ করেছেন ভুল ভুলাইয়া ২।

ভাবতে কষ্ট হয় যে তাবু ই সেই ফিতুর সিনেমার তাবু।
ডাবল রোলে ভৌতিক রোলে ইয়াং রলে। প্রত্যেকটি চরিত্রে বেমানান অভিনয় করেছেন তাবু।

এদিকে সিনেমার মেন কাস্ট যাকে বলা হচ্ছে কার্তিক আরিয়ান।
তিনিও কিন্তু কোন কামাল দেখাতে পারেননি।
অক্ষয় কুমারের জায়গায় যখন তাকে কাস্ট করা হয়েছিল, তখন অনেকেই সম্মেলনচেনা করেছিলেন।

আমি শুধু আশাবাদী ছিলাম কার্তিককে নিয়ে, কারণ তার অনেক কাজ আমি দেখেছি প্রত্যেকটা কাজ ইনফ্যাক্ট আমি দেখেছি।
তিনি অনেক মেধাবী একজন অভিনেতা।


এর আগেও তিনি কমেডি সিনেমায় অনেক ভাল কাজ করেছেন। তার কমেডি টাইমিং তার এক্সপেক্টেশন।
সবকিছুই জানো খুব ভালো।
তবে এই সিনেমায় জ্বলে উঠতে পারেন নি কার্তিক।

আর ওই দিকের নাইকা যে ছিলেন কে আরাত বাণী।
তারও খুব অল্প কিছু দৃশ্য ছিল তিনি নিজে ভাল অভি নেত্রী কিন্তু তাকে কেন এই সিনেমায় যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি। আই হ্যাভ এ নো আইডি।

কিন্তু এদিকে আবার বাড়ে পান্ডি তার ছোট পান্ডি নামে অভিনয় করেছিলেন।
মোটামুটি তারা অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়েছিলেন।
যতক্ষণ এরা স্ক্রিনে ছিলেন মোটামুটি বিনোদন দিতে পেরেছেন তবে এরাও টেনে তুলতে পারেননি পুরো সিনেমাটিকে।

জায়েস ভাই সিনেমার নাম চরিত্রে অভিনয় করা রানভির সিং আবারো প্রমাণ করেছেন, তাকে যে পাত্রে রাখা হয় তিনি সে পাত্রেরি  আকার ধারন করেন।
সাধারন একটি চরিত্রে কি অসাধারণ অভিনয় করেছেন।

প্রভাবশালী বলিউডের যুগে এমন একটি চরিত্রে বাছাই করে ই। সাহসিকতা দেখিয়েছেন রানভির। সেইসাথে চরিত্রের সঙ্গে সুবিচার ও করেছেন।

তার স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করেছেন শালিনি পান্ডে, তাকে হয়তো আপনারা এর আগে দক্ষিণ সিনেমা আর্যুন রেন্ডিকে দেখিয়েছিলেন।

তিনি এখানেও মানানসই কাজ করেছেন। বমান ইরানি তারা সবাই একশ একশ দিয়েছেন।
তবে বিশেষ করে আলাদা ভাবে মন কেড়ে নিয়েছে কিন্তু। রাণবীরের মেয়ের চরিত্রে কাজ করা ছোট্ট জিয়া বিদ্যা।

প্রভাবশালী অভিনেতা দের সাথে কি সাবলীলভাবেই না স্ক্রিন শেয়ার করেছেন, সব মিলিয়ে এক্স এ বারকার এক ভালো অভিনয় দিয়েছেন।
এই সিনেমার অভিনয় শিল্পীরা।

এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো। ভুলভুলাইয়ার ২ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল এর গান আর নাচ।
বিশেষ করে একটি গান ছিলো আমি যে তোমার।
এই গানটি নতুন করে গিয়েছেন আর জিৎ সিং।

আর্জিৎসিং তিনি একজন মেধাবী শিল্পী তা আর বলা লাগবেনা।
তবে এই গানের নাচ নিয়ে আর কি বলব? প্রথম অংশে বিদ্দিয়া বালান যে অসাধারণ ডান্স নাম্বার উপহার দিয়েছিলেন।
সেটি কিন্তু ভুলবার নয়।

ভূত বেসে কিংবা নর্তকী। দুয়ে তেই পেশাদার নিত্য শিল্পীর ফ্লেভার দিয়েছিলেন।

এদিকে প্রচন্ড হতাশ করেছেন তাবু এবং কার্তিক। জীএই একজনে এক একজন এক এক বার নেচেছেন।
ও 1 জন এক ১ বার ১ জন ভূত হয়ে যান কিনা এজন্য। যাইহোক হাস্যকর পারফরম্যান্স দিয়েছেন তিন জন ই।
গানটির সঙ্গে মোটেও সুবিধার করেননি পরিচালক।

সবমিলিয়ে আসলে বলতে গেলে সিনেমাটি কোনটি সুপারহিট আর কোনটি সুপার ফ্লপ, এর বিচার করেন দর্শক।

তবে কিসের উপর ভিত্তি করে কোটি কোটি টাকা বাজেটের এই ব্যবসা তা আমার বোধগম্য নয়।

উদাহরন হিসাবে আপনার এই দুটো সিনেমাকেই নিতে পারেন।
একদিকে সুপারহিট সিনেমা ভুলভুলাইয়া টু যার কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই। আর একদিকে আন্ডারেটেড ফ্লাব জায়েস ভাই জোরদার যার কোন আলোচনাই নেই।

বাকিটা দর্শকের ওপর ইতিমধ্যেই দুটি ই ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে।
আপনারা দেখে ফেলতে পারেন চাইলে এবং আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আপনাদের কেমন লেগেছে।


Pubg Account  for sale 🥶🥶
Total 5 upgrade gun
M4 Glacier Level 4 🥀🥀
Groza – Level 4🌸🌸Akm -Level 4 🌼🌼 Dp -Level 1🌼🌼 Uzi -Level 1🌼🌼 Rp 13 to m9 max m10 kina ache Extra 3ta meta Available Link Only Twitter 🥀🖤
Contract Facebook: https://www.facebook.com/profile.php?id=100081020050372

আজকের মতো এই ছিল, পরবর্তীতে ইনশাল্লাহ আবারো হাজির হবো নতুন কোন সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজের গল্প নিয়ে।
সেই পর্যন্ত ট্রিকবিডির সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ। ❤

The post দর্শকের চোখে কে সেরা- ভুলভুলিয়া ২ নাকি জায়েশ ভাই জোরদার? | মুভি রিভিউ | বাংলা। appeared first on Trickbd.com.








POST VIEWSl

website counter








Next Post Prev Post

Facebook

Get the latest article updates from this site via email for free!