অনলাইনে আয় ২০২০: অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়!

অনলাইনে ইনকাম ২০২০: আপনি নিশ্চয় ২০২০ সালে এসে অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় খুজছেন। আবার কেউ কেউ অনলাইন হতে সহজে আয় করে আয়ের টাকা বিকাশে পেমেন্ট পেতে চাইছেন। অনলাইন হতে আয় করার নিশ্চিত কিছু উপায় রয়েছে। অনলাইন হতে আয় করার জন্য শুধুমাত্র আপনার মেধা, শ্রম ও সময়ের প্রয়োজন। আপনি এই তিনটি জিনিস সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন হতে সহজে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি হয়ত বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাইছেন না! কোন সমস্যা নেই। আমি আপনাকে উদাহরনের মাধ্যমে দেখিয়ে দেব কিভাবে আপনি ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন হতে আয় করবেন?




আপনি একজন ছাত্র, গৃহিনী কিংবা চাকরিজীবী যাই হয়ে থাকেন না কেন, আপনার লেখা-পড়া বা কাজের ফাঁকে কিংবা চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে ২/৩ ঘন্টা ব্যয় করে মাসে মোটামুটি ভালোমানের স্মার্ট এমাউন্ট অনলাইন হতে আয় করতে সক্ষম হবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার চাকরি কিংবা লেখা পড়ায় কোন ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না। আপনার মূল প্রফেশন ঠিক রেখেও সামান্য অল্প সময় ব্যয় করে অনলাইন হতে বাড়তি কিছু টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

আপনি একটি বিষয় ঠান্ডা মস্তিস্কে ভেবে দেখুন, আরো অন্য দশজন স্কুল কিংবা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের মত আপনিও আপনার মূলবান সময়টুকু ফেইসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে ফানি ভিডিও দেখা সহ বিভিন্ন রকম সামাজিক যোগাযোগের সাইটে ব্যয় করছেন। কখনো কখনো আমার নিজের প্রতিও খুব দুঃখ হয় কেন আমি বিগত বৎসরগুলোতে এ সকল সাইটে অযথা সময় ব্যয় করলাম। আমি নিজে প্রায় দুই বৎসর ফেইসবুক, টুইটার এবং বিভিন্ন অনলাইন গেম খেলে সময় পার করেছি। এখন আমি ভাবি কেন আমি এ সময়টুকো ঐ সমস্ত সামাজিক যোগাযোগের সাইটে ব্যয় না করে ব্লগিং করে কাটালাম না।



এ রকম আমার আপনার অনেক বন্ধু বান্ধব আছে যারা ঠিক একইভাবে বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগের সাইটে চ্যাট করে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার করে দিচ্ছে। আপনি যদি হিসাব করে দেখেন, আপনি প্রতিদিন গড়ে কতটুকু সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করে পার করছেন, তাহলে বেশীরভাগ লোকই বলবে ২-৩ ঘন্টা। তাহলে আপনি কি ভাবছেন এ সংখ্যা বছরে কতয় গিয়ে দাড়াচ্ছে। বছরে অন্তত ১০০০-১২০০ ঘন্টা পার করছেন ইন্টারনেটে বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগ এর সাইটে চ্যাট করে। কিন্তু একবারও কি আপনি নিজের কাছে প্রশ্ন করেছেন যে, আপনার এ মূল্যবান সময়গুলো ব্যয় করে আপনি কি পেয়েছেন? আমিত নির্ধিদ্বায় বলতে পারি এর শুরু থেকে শেষ অব্দি শুধু শূন্য আর শূন্য।
অনলাইনে আয় ২০২০: অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়!

আপনার মূ্ল্যবান সময়ের সামান্য সময় ব্যয় করে যদি কিছু টাকা পয়সা ইনকাম করে নিজের প্রয়োজন মিটাতে পারেন, তাহলে অন্যের কাছ থেকে ধার কর্জ করে চলার চেয়ে খারাপ কি? ইন্টারনেট জগৎটা Facebook, Social Media and Gaming এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আপনার সামান্য ইচ্ছা শক্তির বলে আপনি ইন্টারনেট হতে কিছু টাকা আয় করতে পারেন। এই জন্য আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে ছাত্র-ছাত্রী, গৃহিনী এবং কিশোর বয়সি আধুনিক জেনারেশনরা ইন্টারনেট হতে অল্প কিছু টাকা উপার্জন করে নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজন মিটাতে পারেন।

কেন ছাত্রদের টাকা প্রয়োজন?

স্কুল কিংবা কলেজ সকল স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু Extra Pocket Money এর প্রয়োজন হয়। এই অল্প টাকা দিয়েই সে তার নিত্য প্রয়োজনীয় ছোট খাটো সখ এবং প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে পারে। তাছাড়াও স্বাভাবিকভাবে এখনকার জেনারেশনের ছাত্রদের Smartphone, Gaming consoles, Cool cloths ইত্যাদি লাগেই। এ গুলো তাদের চলার পথকে আর Smart এবং সুগম করে।

এই ছোট খাটো ব্যাপারগুলো অনেক সময় আপনার ফ্যামেলির কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারবেন না। এই জন্য আপনি যদি অল্প সময় ব্যয় করে অনলাইন হতে কিছু টাকা আয় করে নিজের প্রয়োজন নিজেই মিটাতে পারেন, তাহলে নিজেকে যেমন আত্ম নির্ভরশীল মনে হবে তেমনি প্রয়োজন গুলোও মিটে যাবে।

তাছাড়া অনেক গৃহিনী আছেন যাদের বাসায় বসে থাকা ছাড়া কোন কাজই থাকে না। তারা বেশীরভাগ সময় ব্যয় করে ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করে। আপনি অযথা এই সময় ব্যয় না করে যদি নিজের কিছু প্রয়োজন মিঠাতে পারেন বা অল্প আয় করতে পারেন তাহলে দুষের কি? নিচে আমি অনলাইন হতে আয় করা সহজ কিছু কৌশল দেখাবো, যেখান থেকে আপনিও ইচ্ছা করলে কিছু পয়সা উপার্জন করে নিতে পারবেন।

ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার উপায়

আপনি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন কি না, সে বিষয়টি আমি শুরুতে ক্লিয়ার করে নিচ্ছি। কারণ অধিকাংশ লোকের কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকার কারনে অনলাইন কাজ করতে চায় না। তারা মনেকরে কম্পিউটার ছাড়া মোবাইল দিয়ে অনলাইন হতে আয় করার সম্ভব নয়। কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না যে, কম্পিউটার ছাড়াও শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ঘরে বসে অনলাইনে সহজে আয় করা যায়। আপনার নিকট যদি একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল থাকে তাহলে আপনি সেই স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইন হতে মাসে কিছু টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

অনলাইনে আয় ২০২০

অনলাইন কাজ শুরু করার পূর্বে অনেকের মনে আরেকটি প্রশ্ন জাগে যে, আমি অনলাইন হতে টাকা আয় করার পর সেই টাকা কিভাবে হাতে পাব? অনলাইন হতে আয়ের টাকা কিভাবে হাতে পাবেন সেই বিষয় নিয়ে আপনাকে চিন্ত করতে হবে ন। অনলাইনের যে কোন প্লাটফর্ম হতে আপনি টাকা আয় করুন না কেন সেই টাকা আপনার হাতে পৌছতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

বর্তমানে প্রত্যেকটি অনলাইন প্লাটফর্ম তাদের গ্রাহকের উপার্জিত টাকা বিশ্বস্ততার সহিত হাতে পৌছে দেয়। এ ক্ষেত্রে আপনার আয়ের টাকা কেবলমাত্র বিকাশের মাধ্যমে পেতে হবে এমনটা চিন্তা করা উচিত নয়। অনলাইনে সকল বড় প্লাটফর্মগুলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা হাতে পৌছে দেয়। সেই জন্য অনলাইন হতে আয়ের টাকা খুব সহজে আপনার যেকোন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
আমরা আজ অনলাইনে আয়ের যে পদ্ধতিগুলো শেয়ার করব সেগুলো হতে আয়ের টাকা আপনি বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন না। তবে কিছু কিছু উপায় আছে যেগুলো কন্টাকের মাধ্যমে ব্যাংকে না নিয়ে বিকাশ পেমেন্ট বা সরাসরি নিতে পারবেন। আসলে অনলাইনের আর্ন্তজাতিক কোন প্লাটফর্ম এখনো পর্যন্ত আয়ের টাকা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করছে না। সবগুলো ভালোমানের কোম্পানি তাদের নিকট হতে আয়ের টাকা ব্যাংক ও পেপল একাউন্ট এর মাধ্যমে পরিশোদ করে।

অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায়

অনলাইনে আমার অনেক পরিচিত লোক রয়েছে যারা অনলাইন হতে প্রতি মাসে ভালোমানের টাকা উপার্জন করছে। আবার এমনো কিছু পরিচিত ব্যক্তি আছে যারা অনলাই হতে আয় করে তাদের পরিবারেরে ভরণ পোষণ সহ বিলাসিতার জীবন যাপন করছে। আমি নিজেও ২০১৫ সাল হতে অদ্যাবধি চাকরির পাশাপাশি প্রতি মাসে কিছু টাকা আয় করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনার সকলের আন্তরিকতা ও ভালবাসা পেলে ভবিষ্যতে আয়ের পরিমানটা আরো বৃদ্ধি করতে পারব।

অনলাইনে আয়ের সহজ পদ্ধতি

এখন আমরা আপনাদের সাথে অনলাইনে আয় করার কয়েকটি নিশ্চিত উপায় শেয়ার করব। আশাকরি আপনি ধৈর্য্যধারণ করে ২/৪ মাস কাজ করলে আপনিও মাসে মাসে অনলাইন হতে কিছু টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। অনলাইনে কাজ শুরুর দিকে আপনার কাছে বিষয়টি কঠিন মনে হবে। কিন্তু ধিরে ধিরে আপনার কাছে সহজে হয়ে উঠবে। আপনি একটি জিনিস মনে রাখবেন, কেউ একদিনে বড় হয়নি, বড় হওয়ার জন্য সময় দিতে হয় এবং ধৈর্য্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হয়।

০১। YouTube হতে টাকা আয়

অনলাইন থেকে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে YouTube. এখান থেকে যে কোন বয়সের লোক খুবই সহজে টাকা উপার্জন করতে পারেন। ইন্টারনেট বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ ওয়েবসাইটের মধ্যে YouTube হচ্ছে একটি। আপনি ইচ্ছে করলেই এখান থেকে কম সময় ব্যয় করে অল্প অভীজ্ঞতা নিয়ে মাসে ভালো মানের টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই জন্য আপনাকে যেটি করতে হবে- প্রথমে বিভিন্ন ভাল মানের ভিডিও YouTube এ আপলোড করতে হবে। ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনার মোবাইল ফোনকে ব্যবহার করতে পারেন।

এগুলো অবশ্যই পড়বেন -
আপনি যদি ভ্রমন প্রিয় লোক হন তাহলে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর প্রকৃতিক দৃশ্যগুলো আপনার মোবাইলের ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দী করেও এ কাজটি করতে পারেন। অথবা আপনি যে বিষয় ভালভাবে জানেন সে বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও টেউটরিয়াল তৈরী করেও কাজটি করতে পারেন। যারা গৃহিনী রয়েছেন তারা চাইলে বিভিন্ন রান্নার রেসিপি টিপস ও সাজগোজের করার ভিডিও তৈরি করে নিতে পারেন। এখনকার মোবাইল ফোনে অনেক ভালোমানের ভিডিও রেকর্ডিং করা যায় বিধায় আপনি চাইলে আপনার মোবাইল দিয়ে ক্যামেরার সামনে বসে ভিডিও বানাতে পারেন অথবা ক্যামেরার সামনে আসতে না চাইলে মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন ভিডিও রেকর্ড করে বিভিন্ন ধরনের টিউটরিয়াল ভিডিও তৈরি করতে পারেন।  কিন্তু মনে রাখবেন কারও কোন নকল ভিডিও কপি করে এটি করা যাবে না। এতে করে হিতের বিপরীত হতে পারে। 
YouTube হতে টাকা আয়

০২। ব্লগিং করে বা ব্লগে আর্টিকেল লিখে

আপনি গুগল ব্লগারে কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসে বিনা মূল্যে একটি ব্লগ তৈরী করে নিতে পারেন। গুগল ব্লগার সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি ব্লগ তৈরি করার সুযোগ দিচ্ছে। তাছাড়া গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগ তৈরি করা খুব সহজ হওয়ায় আপনি চাইলে আপনার মোবাইল দিয়ে মাত্র ৫ মিনিটে নিজের একটি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন। গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগ তৈরি করার বিষয়ে আমাদের ব্লগে একটি বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে। আপনার নিজের একটি ব্লগ তৈরি করার জন্য নিচের লিংক থেকে আমাদের ব্লগে পোস্ট দেখে নিতে পারেন।

এগুলো অবশ্যই পড়বেন -
তবে একটি বিষয় মরে রাখবেন ব্লগ তৈরী করে থেমে থাকলে হবে না। আপনার যে বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান আছে, আপনি সে বিষয় নিয়ে লিখে যাবেন। এ ক্ষেত্রে হয়তো আপনি প্রথম ২-৩ মাস একটু কষ্ট করতে হবে। তাই বলে আপনি নিরাশ হয়ে থেমে থাকবেন না। আপনি প্রতিদিন নিত্য নতুন আর্টিকেল লিখতে থাকেন। আপনার বিষয়টি যদি ইউনিক এবং জ্ঞানগর্ভপূর্ণ হয় তাহলে ভিজিটর অবশ্যই আপনার ব্লগে আসবে। এ ক্ষেত্রে সফলতা পেতে আপনাকে বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবে না। আপনি নিজে নিজেই টাকা উপার্জনের পথ সুঘম করে নিতে পারবেন।
ব্লগিং করে বা ব্লগে আর্টিকেল লিখে অনলাইনে আয়

০৩। Freelancing – একজন লেখক হয়ে

অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে Freelancing একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। Freelancing করে বর্তমানে বাংলাদেশের হাজার হাজার লোক ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা আয় করছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাজে লাগানোর জন্য Freelancing বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর ব্যবস্থা চালু করেছে। অনেকে সেই সমস্ত সরকারী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে Freelancing এর মাধ্যমে মাসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ইনকাম করে স্বাবলম্বি হচ্ছে।
Freelancing হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি আপনার লেখা বা আর্টিকেল শেয়ার করে টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন। আপনি যদি একজন ভাল লেখক হন কিংবা যে কোন বিষয়ে ভাল জ্ঞান রাখেন, তাহলে সে বিষয়ে ভালোমানের আর্টিকেল লিখে Freelancing এর কাজ করতে পারবেন। আপনার লেখার মান যদি ভাল হয় তাহলে Freelancing এ আপনার লেখার মূল্য অর্থাৎ টাকা উপার্জনের পরিমান দিন দিন বাড়তে থাকবে। এখান থেকে মাসে লাখ টাকা উপার্জন করে এমন লোকও আছে। এখানে যার যার মেধা অনুসারে তার প্রতিফলন ঘটাতে পারে।
Freelancing – একজন লেখক হয়ে অনলাইনে আয়

০৪। Adsense থেকে টাকা আয়

Adsense হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের (Advertisement) Program. এটি গুগল কর্তৃপক্ষ সয়ং নিজে পরিচালনা করছে। আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলকে ভালোমানের Platform এ নিয়ে যেতে পারেন এবং ব্লগে বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে তাহলে Adsense থেকে আপনি হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

এগুলো অবশ্যই পড়বেন -
এ পদ্ধতীতে আপনার ব্লগে কিংবা ইউটিউব ভিডিওতে Adsense এর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ক্লিক প্রতি ডলার আয় করতে পারবেন। অনেকে বলে Adsense Approve করাটা অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু আমি বলছি মোটেও কঠিন কাজ নয়। আপনি যদি মানসম্মত ২৫-৩০ টি ইউনিক কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে Adsense Approve হয়ে যাবে। এখান থেকে আপনি দীর্ঘ দিন যাবত টাকা উপার্জন করে যেতে পারবেন।
Adsense থেকে টাকা আয়

০৫। প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে (Ask And You Answer)

আপনি যদি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, যেমন ধরুন - Math, English, Physics, Biology, Humanities ইত্যাদি। তাহলে আপনি প্রশ্ন উত্তর প্রদানের মাধ্যমে ইন্টারনেটে অন্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন। আপনি যদি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন, তাহলে ইন্টারনেটে অনেক সাইট আছে যেগুলোতে জয়েন করার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে। তাদের সাইটে জয়েন করার মাধ্যমে ঐ কোম্পানী হতে আপনি ভাল মানের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি বেশ চালাক এবং বুদ্ধিমান হতে হবে। আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার চালাকি এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে এখান থেকে টাকা উপার্জন করতে হবে।
প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে অনলাইনে আয়

০৬। EBAY and AMAZON এ আপনার Products বিক্রির মাধ্যমে

আপনারা হয়তো জানেন যে, ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পন্য কেনা কাটার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে Ebay and Amazon. এখানে লোকজন তাদের বিভিন্ন ধরনের Products বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। আপনার পন্যটি যদি ক্রেতার কাছে ভাল মনে হয়, তাহলে পন্যটি কেনার জন্য ক্রেতারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনি যদি আপনার Products বিক্রি করে একজন ভালোমানের বিক্রেতা হতে পারেন, তাহলে এখান থেকে কমদামে বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করে ভালো দামে বিক্রয় করে লাভবান হতে পারেন। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনাকে আগে একজন ভাল মানের বিক্রেতা হিসেবে প্রমান করতে হবে।
EBAY and AMAZON এ Products বিক্রির মাধ্যমে আয়

০৭। গ্রাফিকস ডিজাইন

অনলাইনে গ্রাফিকস ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর পরিমানে রয়েছে। অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন একটি ভালো উপায়। যারা এই কাজে দক্ষ, তারা বিভিন্ন ডিজাইন বিষিয়ক অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাদের নিজেস্ব ডিজাইন দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাদের ডিজাইনগুলো ক্রেতাদের পছন্দ হলে কিনে নেয়। এ ধরনের একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কাজটি আপনি প্রাথমিকভাবে এডোবি ফটোশপ থেকে শুরু করতে পারেন।
গ্রাফিকস ডিজাইন করে অনলাইনে আয়

০৮। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম

জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি সহজে অনলাইন হতে আয় করতে পারবেন। আপনার ৩-৫ টি ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকলে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির নিকট থেকে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ যেকোন কোম্পানির পন্যের প্রচারের জন্য এখন ফেসবুক ও টুইটার খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম। এ ক্ষেত্রে আপনার জনপ্রিয় কোন সোশ্যাল মিডিয়া থাকলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করবেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয় হওয়া জরুরি।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হতে টাকা আয় করার উপায়

০৯। ডাটা এন্ট্রি

অনলাইনে সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম। তবে এ ধরনের কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়। যাদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তারা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে। তবে যাদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তারা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে পারেন।
ডাটা এন্ট্রি করে অনলাইনে আয়

১০। পিটিসি

অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে টাকা দেওয়া হয়। এ ধরনের সাইটকে পিটিসি সাইট বলে। প্রকল্প শুরুর আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে পিটিসি সাইটগুলো বেশির ভাগ ভুয়া হয়। তাই কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত সাইট কি না। অনেক সময় বন্ধুত্বের রেফারেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন।
পিটিসি সাইট হতে টাকা আয়

সাহায্য জিজ্ঞাসা

আপনারা পোষ্টটি পড়ে হয়তো ভাবছেন এখানে ইন্টারনেট হতে আয় করার কথা বার বার বলা হচ্ছে কিন্তু কিভাবে করবো তা দেখানো হচ্ছে না কেন? আসলে কিভাবে আয় করবেন এটা নিয়ে বর্ণনা করা এই পোষ্টের উদ্দেশ্য নয়। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের শুধু আয় করার সহজ কয়েকটি পথ দেখিয়ে দিলাম। যার ফলে আপনি এই পথ ধরে অনলাইন হতে কিছু টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন। আর আপনার যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে এ সম্পর্কে আমাদের ব্লগের অন্যান্য পোস্ট হতে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।





POST VIEWSl

website counter








Next Post Prev Post

Facebook

Get the latest article updates from this site via email for free!